Vishnu Temple
Sri Ramakrishna worshipped in this temple for some time. Here the names of Radha- Krishna idols are Sri Sri Jagamohini Radha and Sri Sri Jagamohan Krishna. Puja is performed daily with vegetarian bhog (food offered to the deity). Special puja is arranged on special days like SnanYatra, Jhulan, Janmashtami, Raas etc. The broken leg of the idol of Krishna seen in the adjoining room of this temple was mended and attached by Sri Ramakrishna. In 1929, the attached part of the idol broke again during dressing of the deity. So a new idol of Lord Krishna was placed alongside idol of Sri Sri Radha in the year 1930.
The photograph known as ‘shrine picture of Thakur Sri Ramakrishna’ and worshipped in homes and temples was taken in the Vishnu Temple on one of the Sundays in October 1883*. Devotee Bhavanath Chattopadhyay came to Dakshineswar with the photographer Avinash Chandra Dawn, an apprentice of Bourne & Shepherd, India’s oldest photography firm, but Thakur did not give his consent. His friend Narendranath (Swami Vivekananda) assured him to help and went to Sri Ramakrishna who was on the verandah to the west of Radhakanta temple and started religious conversation with him.Thakur soon went into Samadhi (a blissful superconscious state) and the photograph was taken. Thakur said after seeing the picture, “This represents a high yogic state – absorbed in the Absolute. This form will be worshipped in every home in times to come.”
*Anandarup Sri Ramakrishna – Swami Prabhananda (Page 14, Seventh Reprint, June 2013)
The idol in the Vishnu Temple
বিষ্ণুমন্দির
শ্রীরামকৃষ্ণ এই মন্দিরে কিছুকাল পূজা করেন। এখানে রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহদ্বয়ের নাম শ্রীশ্রীজগমোহিনী রাধা ও শ্রীশ্রীজগমোহন কৃষ্ণ। নিত্য পূজা ও নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হইয়া থাকে। বিশেষ পূজার ব্যবস্থা স্নানযাত্রা, ঝুলন, জন্মাষ্টমী, রাস প্রভৃতি বিশেষ দিনে হইয়া থাকে। এই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী কক্ষে যে শ্রীকৃষ্ণ মূর্তিটি দেখা যায় উহারই ভগ্নপদ শ্রীরামকৃষ্ণ কর্তৃক জোড়া দেওয়া হইয়াছিল। ১৯২৯ খ্রীষ্টাব্দে এই মূর্তির জোড়া দেওয়া অংশটি অঙ্গরাগের সময় পুনরায় ভগ্ন হওয়ায় নূতন মূর্তি শ্রীশ্রীরাধাবিগ্রহের নিকট স্থাপিত হইয়াছে, ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যে প্রতিকৃতিটি ঘরে ও মন্দিরে পূজিত হয়, *১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের একটি রবিবারে ৺রাধাকান্তের মন্দিরে ভক্ত ভবনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবং তাঁর বন্ধু নরেন্দ্রনাথের (স্বামী বিবেকানন্দের) সহায়তায় সেই আলোকচিত্রটি নেওয়া সম্ভব হয়। ভারতের প্রাচীনতম আলোকচিত্রের প্রতিষ্ঠান বোর্ন এণ্ড শেফার্ড কোম্পানির শিক্ষানবিশ অবিনাশ চন্দ্র দাঁ এই ছবিটি তুলিয়াছিলেন। পরে এই চিত্র দেখিয়া ঠাকুর বলিয়াছিলেন, “এ মহাযোগের লক্ষণ। এ ছবি কালে ঘরে ঘরে পূজা হবে।”
*আনন্দরূপ শ্রীরামকৃষ্ণ – স্বামী প্রভানন্দ (পৃষ্ঠা ১৪, সপ্তম পুনর্মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২০)
Thakur Sri Ramakrishna
in the state of Mahayoga (absorbed in the Absolute) photographed in October 1883 in Radhakanta Temple
Radha Kanta Temple (Vishnu Temple)
১৮৫৫ সালে ৺গোবিন্দ জীউ-এর ডান পায়ের তীর চিহ্নিত স্থান ভাঙ্গিয়া গেলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ স্বহস্তে সেই ভগ্ন স্থান জুড়িয়া দিয়াছিলেন
Thakur Sri Ramakrishna repaired in 1855 the broken right foot of the idol of Govinda
“The ceremonies in connection with the ‘The Eighth Lunar Day’, the birthday of Sri Krishna, had been properly performed without let or hindrance in the temple. The next day was the day of the Nandan festival. The special mid-day worship of Radha-Govinda and food offerings to Him were over. The priest Kshetranath took Radharani to another room and put Her to bed there. As he was next taking the image of Govinda for the same purpose, the priest fell down, and as a result, one leg of the image got broken. There arose a great commotion in the temple over that event. Opinions of various Pandits were taken. In the end the broken leg of the image was set and the worship of the image was continued according to the Master’s advice. Having seen the Master sometimes enter into ecstasy, Mathur became eager to seek his advice regarding the substitution of the broken image with a new one. Hriday stated that the Master was in an ecstatic mood before advising Mathur and that he said at the end of the ecstasy that substitution was not necessary. It was not unknown to Mathur that the Master could beautifully set broken parts of images. He, therefore, had to set right the leg of the image now, at Mathur’s request. He did it so well that even now it cannot be known that the image ever got broken, even if one examines it very minutely.”
– page 150-151, The Great Master, Vol.1 – Translated by Swami Jagadananda from the Bengali book SriSri Ramakrishna Leelaprasanga by Swami Saradananda (published by Sri Ramakrishna Math, Mylapore)
১৮৫৫ সালে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ৺গোবিন্দজীর ভগ্ন ডান পা স্বহস্তে জুড়িয়া দিয়াছিলেন
“১২৬২ সালের ভাদ্র মাস উপস্থিত। পূর্বদিন মন্দিরে জন্মাষ্টমীকৃত্য যথাযথ সুসম্পন্ন হইয়া গিয়াছে। আজ নন্দোৎসব। মধ্যাহ্নে ৺রাধাগোবিন্দজীর বিশেষ পূজা ও ভোগরাগাদি হইয়া গেলে পূজক ক্ষেত্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ৺রাধারানীকে কক্ষান্তরে শয়ন করাইয়া আসিয়া ৺গোবিন্দজীকে শয়ন করাইতে লইয়া যাইবার সময় সহসা পড়িয়া গেলেন; বিগ্রহের একটি পদ ভাঙ্গিয়া যাইল। নানা পণ্ডিতের মতামত লইবার পরে ঠাকুরের পরামর্শে বিগ্রহের ভগ্নাংশ জুড়িয়া পূজা চলিতে লাগিল। ভগবৎপ্রেমে ঠাকুরকে ইতঃপূর্বে মধ্যে মধ্যে ভাবাবিষ্ট হইতে দর্শন এবং কোন কোন বিষয়ে আদেশপ্রাপ্ত হইতে শ্রবণ করিয়াই মথুরবাবু ভগ্নবিগ্রহপরিবর্তন সম্বন্ধে তাঁহার পরামর্শগ্রহণে সমুৎসুক হইয়াছিলেন। হৃদয় বলিত, ভগ্নবিগ্রহসম্বন্ধে মথুরবাবুর প্রশ্নের উত্তর দিবার পূর্বে ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়াছিলেন, এবং ভাব ভঙ্গ হইলে বলিয়াছিলেন, বিগ্রহমূর্তি-পরিবর্তনের প্রয়োজন নাই। ঠাকুর যে ভগ্নবিগ্রহ সুন্দরভাবে জুড়িতে পারেন, একথা মথুরবাবুর অবিদিত ছিল না। সুতরাং তাঁহার ‘অনুরোধে তাঁহাকেই এখন ঐ বিগ্রহ জুড়িয়া দিতে হইয়াছিল। তিনি উহা এমন সুন্দররূপে জুড়িয়াছিলেন যে, বিশেষ নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলেও ঐ মূর্তি যে কোনকালে ভগ্ন হইয়াছিল, একথা এখনও বুঝিতে পারা যায় না।”
– পৃষ্ঠা-৫৫-৫৬ (সাধকভাব), শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ- স্বামী সারদানন্দ (উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা – ২৮তম পুনর্মুদ্রণ August 2012)