Tag Archives: Kolkata

Cossipore Mahasmashan (Crematorium)

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পূতদেহ এই শ্মশানঘাটে ১৬-৮-১৮৮৬ তারিখে ভক্তবৃন্দ লইয়া গিয়া অগ্নিতে আহুতি প্রদান করেন। ওই স্থানটিতে একটি স্মারক মন্দির নির্মিত হইয়াছে। ইহার বর্তমান নাম — শ্রীরামকৃষ্ণ মহাশ্মশান।

Kalighat Kali Temple

এই মন্দির প্রায় ৩৫০ বৎসর পূর্বে নির্মিত। পৌরাণিক কাহিনীতে দেবী সতীর একটি অঙ্গুলি এখানে পড়িয়াছিল। ইহা হিন্দুদের একটি মহাতীর্থ। শ্রীশ্রীঠাকুর এই মহাতীর্থে কয়েকবার মায়ের দর্শনে আসিয়াছিলেন। ২৯-১২-১৮৮৩ তারিখে এখানে আসার কথা কথামৃতে উল্লিখিত আছে। লীলাপ্রসঙ্গে — গুরুভাব উত্তরার্ধ ৩য় অধ্যায়ে আছে কালীঘাট তীর্থে শ্রীশ্রীজগদম্বাকে দর্শন করিয়া আনন্দিত হইয়াছিলেন। সে সময় সঙ্গী ভক্তদের মধ্যে একজনকে বলিয়াছিলেন ‘দেবস্থান তীর্থস্থান দর্শনাদি করে এসে সেই সব ভাব নিয়ে থাকতে হয়। জাবর কাটতে হয়, তা নইলে ওসব ঈশ্বরীয় ভাব প্রাণে দাঁড়াবে কেন?’

Ramchandra Dutta’s Udyanbati (Yogodyan Math)

রামচন্দ্র দত্তের প্রতিষ্ঠিত এই সাধন ক্ষেত্রে শ্রীশ্রীঠাকুরের পূত দেহাস্থি ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্মাষ্টমী দিবসে সংরক্ষিত হয়। শ্রীশ্রীঠাকুর এখানে ২৬-১২-১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে আসিয়াছিলেন। গাড়ি হইতে অবতরণ করিয়া সর্বপ্রথম ঠাকুর তুলসী কানন দর্শন করেন এবং জায়গাটি ঈশ্বর চিন্তার পক্ষে প্রকৃষ্ট স্থান বলিয়া অভিমত প্রকাশ করেন। এখানে রামবাবুর প্রদত্ত ফল ও মিষ্টান্ন ঠাকুর ভক্তগণসহ গ্রহণ করেন। বর্তমানে ইহা বেলুড় মঠের একটি শাখা কেন্দ্র — ঠিকানা শ্রীরামকৃষ্ণ যোগোদ্যান মঠ, ৭ নং যোগোদ্যান লেন, কাঁকুড়গাছি, কলি-৫৪।