Shyampukur Bati
For treatment in Calcutta, Sri Sri Thakur stayed at Shyampukur Bati for 70 days from 2nd October 1885 to 11th December 1885.The details of twelve different days of this period are available in Kathamrita. The house was found out by Kalipada Ghosh who helped in taking it on rent.
It was in this house on the Kali Puja day on 6th November 1885, Divine Mother Herself manifested through Thakur Sri Ramakrishna.
Following is the description in page 928 in ‘The Gospel of Sri Ramakrishna’ (Volume 2) :
“It is the dark night of the new moon. At seven o’clock the devotees made arrangements for the worship of Kali in Sri Ramakrishna’s room on the second floor. Flowers, sandal-paste, vilwa-leaves, red hibiscus, rice pudding, and various sweets and other articles of worship are placed in front of the Master. The devotees are sitting around him. There are present, among others, Sarat, Sashi, Ram, Girish, Chunilal, M., Rakhal, Niranjan, and younger Naren.
Sri Ramakrishna asked a devotee to bring some incense. A few minutes later he offers all the article to the Divine Mother. M. is seated close to him. Looking at M., he says to the devotees, “Meditate a little.” The devotees close their eyes.
Presently Girish offers a garland of flowers at Sri Ramakrishna’s feet. M. also offers flowers and sandal-paste. Rakhal. Ram, and the other devotees follow him.
Niranjan offers a flower at Sri Ramakrishna’s feet, crying, ‘Brahmamayi! Brahmamayi,’ and prostrates himself before him, touching the Master’s feet with his head. The devotees cry out,“Jai Ma!”, “Hail to the Mother!”
In the twinkling of an eye Sri Ramakrishna goes into deep samadhi. An amazing transformation takes place in the Master before the very eyes of the devotees. His face shines with a heavenly light. His two hands are raised in the posture of granting boons and giving assurance to the devotees ; it is the posture one sees in the images of the Divine Mother. His body is motionless ; he has no consciousness of the outer world. He sits facing north. Is the Divine Mother of the Universe manifesting Herself through his person?”
Shyampukur Bati sanctified by stay of Thakur Sri Ramakrishna and Ma Sarada Devi used to be maintained by ‘Shyampukur Bati Sanrakshon Samiti’ and the Samiti has handed over the control of this sacred place to Ramakrishna Math and Mission, Belur in November 2010. Ramakrishna Math (Shyampukur Bati) was started as a sub centre of Ramakrishna Math (Balaram Mandir) in 2010 and later on in 2017, it became a full fledged branch Centre.
On the day of Kali Puja on 6th November 1885 at Shyampukur Bati, Thakur’s two hands are raised in the posture of granting boons and assurances.
৬ই নভেম্বর ১৮৮৫ সালে কালীপূজার দিন শ্যামপুকুর বাটীতে ঠাকুরের বরাভয় মূর্তি।
শ্যামপুকুর বাটি
গলার অসুখের চিকিৎসার জন্য শ্রীশ্রীঠাকুর শ্যামপুকুর বাটীতে ২রা অক্টোবর হইতে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭০ দিন ছিলেন। এই সময়কার ১২ দিনের বিশদ বিবরণ কথামৃতে পাওয়া যায়। এই বাড়ি কালীপদ ঘোষের প্রচেষ্টায় ভাড়া লওয়া হইয়াছিল।
এই শ্যামপুকুর বাটীতে শুক্রবার ৬ই নভেম্বর ১৮৮৫ সালে, জগন্মাতা ৺কালীপূজার দিনে, সাক্ষাৎ জগন্মাতা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ভিতর আবির্ভূতা হইয়াছিলেন।
‘শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃতে’ (অখণ্ড সংস্করণ, পৃষ্ঠা ১০০৭) সেই দিনের ঘটনায় বর্ণিত আছে :
“শরৎকাল, অমাবস্যা, রাত্রি ৭টা। সেই উপরের ঘরেই পূজার সমস্ত আয়োজন হইয়াছে। নানাবিধ পুষ্প, চন্দন, বিল্বপত্র, জবা; পায়স ও নানাবিধ মিষ্টান্ন ঠাকুরের সম্মুখে ভক্তেরা আনিয়াছেন। ঠাকুর বসিয়া আছেন। ভক্তেরা চতুর্দিকে ঘেরিয়া বসিয়া আছেন। শরৎ, শশী, রাম, গিরিশ, চুনিলাল, মাস্টার, রাখাল, নিরঞ্জন, ছোট নরেন, বিহারী প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্ত।
ঠাকুর বলিতেছেন, “ধুনা আন”। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর জগন্মাতাকে সমস্ত নিবেদন করিলেন। মাস্টার কাছে বসিয়া আছেন। মাস্টারের দিকে তাকাইয়া ঠাকুর বলিতেছেন, “একটু সবাই ধ্যান করো”। ভক্তেরা সকলে একটু ধ্যান করিতেছেন।
দেখিতে দেখিতে গিরিশ ঠাকুরের পাদপদ্মে মালা দিলেন। মাস্টারও গন্ধপুষ্প দিলেন। তারপরেই রাখাল। তারপর রাম প্রভৃতি সকল ভক্তেরা চরণে ফুল দিতে লাগিলেন।
নিরঞ্জন পায়ে ফুল দিয়া ব্রহ্মময়ী ব্রহ্মময়ী বলিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া, পায়ে মাথা দিয়া প্রণাম করিতেছেন। ভক্তেরা সকলে ‘জয় মা! জয় মা!’ ধ্বনি করিতেছেন।
দেখিতে দেখিতে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সমাধিস্থ হইয়াছেন। কি আশ্চর্য! ভক্তেরা অদ্ভুত রূপান্তর দেখিতেছেন। ঠাকুরের জ্যোতির্ময় বদনমণ্ডল! দুই হস্তে বরাভয়! ঠাকুর নিস্পন্দ বাহ্যশূন্য! উত্তরাস্য হইয়া বসিয়া আছেন। সাক্ষাৎ জগন্মাতা কি ঠাকুরের ভিতর আবিভূর্তা হইলেন!”
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীমা সারদা দেবীর অবস্থানে পবিত্রীকৃত এই শ্যামপুকুর বাটী পূর্বে,‘শ্যামপুকুর বাটী সংরক্ষণ সমিতির’ পরিচালনাধীন ছিল। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে সমিতি ঠাকুর ও মায়ের পদরজময় এই বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, বেলুড়কে অর্পণ করে। অধিগ্রহণের পরে শ্যামপুকুর বাটী রামকৃষ্ণ মঠ(বলরাম মন্দির)-এর উপকেন্দ্র ছিল এবং ২০১৭ সাল থেকে এটি রামকৃষ্ণ মঠের পূর্নাঙ্গ শাখাকেন্দ্রে পরিণত হয়।