Dakshineswar Kalibari
This temple has three levels with nine tops. There are 4 in the lower part, 4 in the upper part and the main one in the middle is on the highest part of the temple – thus totally nine tops. The works on the tops and the temple walls are wonderful example of craftsmanship and architecture. The presiding deity of the temple is Sri Sri Jagadishwari Kali, but she is better known as Ma Bhavatarini. Daily worship is performed here. Sri Ramakrishna worshipped in this temple for about three years. Later as he would always remain drenched in nectar of devotion, it was not possible for him to do the ritualistic puja due to his extreme state of divine intoxication. But he used to go to Mother’s temple and prostrate before Her. During the days of Sadhana (spiritual practice), he used to pray to the Mother intensely and serve Her in various ways like feeding, laying down etc.
Bengali
দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি
এই মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য রানী রাসমণি ১৮৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ৬ই সেপ্টেম্বর সাড়ে চুয়ান্ন বিঘা জমি ও কুঠিবাড়িটি বিয়াল্লিশ হাজার পাঁচশত টাকায় ক্রয় করেন। এই বিস্তৃত ভূখণ্ড ও কুঠিবাড়িটি প্রথমে ইংরেজ এটর্নি জেমস হেসটি সাহেবের ছিল। কিছু অংশে মুসলমানদের কবরডাঙ্গা, গাজীসাহেবের পীঠের স্থান, পুষ্করিণী ও আম বাগান ছিল। এইস্থানের কিছু অংশ কূর্মপৃষ্ঠাকৃতি থাকায় শাস্ত্রানুসারে শক্তিমন্দির প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত স্থানরূপে নির্ণীত হয় এবং পরবর্তী কালে শিব শক্তি ও বিষ্ণু মন্দির নির্মিত হইয়া সর্বধর্মের মিলনক্ষেত্ররূপে পরিণত হইয়াছে। গঙ্গার ধারে পোস্তা প্রভৃতিসহ মন্দির নির্মাণের কাজ ‘ম্যাকিন্টস্ আণ্ড বার্ন্’ কোম্পনি দ্বারা সম্পন্ন হইয়াছিল। সমস্ত নির্মাণ কাজ শেষ হইতে নয় বৎসর সময় লাগে এবং খরচ হয় তখনকার দিনে নয় লক্ষ টাকা। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দের ৩১শে মে, স্নানযাত্রার দিন।
এই মন্দিরটির নবচূড়াবিশিষ্ট তিনটি স্তরে আছে। মন্দির শীর্ষের নিচু অংশে ৪টি চূড়া, তাহার উপরের স্তরে ৪টি ও সর্ব্বোচ্চস্থানে মূল চূড়া — মোট নয়টি। চূড়া ও মন্দির গাত্রের শিল্পকাজসমূহ স্থাপত্যশিল্পের অপূর্ব নিদর্শন। মন্দিরের দেবীর নাম শ্রীশ্রীজগদীশ্বরী কালী, কিন্তু তিনি ভবতারিণী নামেই সমধিক পরিচিতা। এখানে নিত্য পূজা হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ এই মন্দিরে প্রায় তিন বৎসর পূজা করেন। পরে দিব্যোন্মত্তায় বৈধীপূজা করা সম্ভব ছিল না। তবে নিত্যই মায়ের মন্দিরে গিয়া প্রণামাদি করিতেন। সাধনকালে ব্যাকুলভাবে মায়ের নিকট প্রার্থনা, ও দিব্যভাবে মাকে খাওয়ানো শোয়ানো প্রভৃতি বিভিন্নভাবে সেবা করিতেন।