এই মন্দির প্রায় ৩৫০ বৎসর পূর্বে নির্মিত। পৌরাণিক কাহিনীতে দেবী সতীর একটি অঙ্গুলি এখানে পড়িয়াছিল। ইহা হিন্দুদের একটি মহাতীর্থ। শ্রীশ্রীঠাকুর এই মহাতীর্থে কয়েকবার মায়ের দর্শনে আসিয়াছিলেন। ২৯-১২-১৮৮৩ তারিখে এখানে আসার কথা কথামৃতে উল্লিখিত আছে। লীলাপ্রসঙ্গে — গুরুভাব উত্তরার্ধ ৩য় অধ্যায়ে আছে কালীঘাট তীর্থে শ্রীশ্রীজগদম্বাকে দর্শন করিয়া আনন্দিত হইয়াছিলেন। সে সময় সঙ্গী ভক্তদের মধ্যে একজনকে বলিয়াছিলেন ‘দেবস্থান তীর্থস্থান দর্শনাদি করে এসে সেই সব ভাব নিয়ে থাকতে হয়। জাবর কাটতে হয়, তা নইলে ওসব ঈশ্বরীয় ভাব প্রাণে দাঁড়াবে কেন?’
Category Archives: South Kolkata
শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়ের স্মৃতি কথায় আছে একবার তিনি দক্ষিণেশ্বরে আসিলে শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁহাকে চিড়িয়াখানার সিংহ দেখাইবার জন্য অনুরোধ করেন। “সিংহ জগজ্জননী দেবী দুর্গার বাহন” বলিতে বলিতে তাঁহার মধ্যে এক অতীনিদ্রয় অনুভূতি জাগ্রত হইল। সেদিন শাস্ত্রীমহাশয়ের জরুরী কাজ থাকায় নিজে যাইতে পারেন নাই। সুকিয়া স্ট্রীট পর্যন্ত শ্রীশ্রীঠাকুরকে গাড়িতে লইয়া আসিয়া নরেন্দ্রনাথের দায়িত্বে তাঁহাকে চিড়িয়াখানায় পাঠান। কথামৃতে ২৪-২-১৮৮৪ তারিখের বিবরণে আছে — ‘চিড়িয়াখানা দেখাতে লয়ে গিছলো। সিংহ দর্শন করেই আমি সমাধিস্থ হয়ে গেলাম। ঈশ্বরীয় বাহনকে দেখে ঈশ্বরীয় উদ্দীপন হলো। — তখন আর অন্য জানোয়ার কে দেখে। সিংহ দেখেই ফিরে এলাম।’ প্রায় চল্লিশ একর পরিমিত স্থানে এই চিড়িয়াখানাতে অনেক প্রকারের বন্য প্রাণীর সংগ্রহ আছে।
বর্তমান ঠিকানা ৪৭/এ, বোস পাড়া লেন, বাগবাজার, কলিকাতা-৩। স্বামী অখণ্ডানন্দজীর ‘স্মৃতি কথা’ গ্রন্থে উল্লিখিত আছে শ্রীশ্রীঠাকুর এই বাড়িতে কেশবচন্দ্র সেন ও অন্যান্য ব্রাহ্মভক্তদের সঙ্গে শুভাগমন করিয়াছিলেন। সে সময় হৃদয়, শ্রীশ্রীঠাকুরের সেবক ও সঙ্গী, তাঁহার সঙ্গে ছিলেন। এই গৃহে কিশোর গঙ্গাধর ও হরিনাথ তাঁহাকে দর্শন করিয়াছিলেন।
২৩ নং সিমুলিয়া স্ট্রীটের এই বাড়িতে শ্রীশ্রীঠাকুর শুভাগমন করিয়াছিলেন। ৩-১২-১৮৮১ তারিখে এই বাড়িতে কেশব সেন ও অন্যান্য ভক্তদের সঙ্গে ভগবৎ প্রসঙ্গ ও কীর্তনানন্দের পরে আহারাদি করিয়াছিলেন — কথামৃতের পরিশিষ্টে ইহার বিবরণ আছে। কলিকাতায় আসিলে এখানে শ্রীশ্রীঠাকুর কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া অন্যত্র যাইতেন। বর্তমানে বাড়িটির হস্তান্তর হইয়াছে।
Ram Babu first brought Sri Sri Thakur to this house at 11, Madhu Roy Lane, Simulia on the Baishakhi Purnima (full moon in the month of Baishakh, the first month of Bengali calendar) day.