রামচন্দ্র দত্তের প্রতিষ্ঠিত এই সাধন ক্ষেত্রে শ্রীশ্রীঠাকুরের পূত দেহাস্থি ১৮৮৬ খ্রীষ্টাব্দে জন্মাষ্টমী দিবসে সংরক্ষিত হয়। শ্রীশ্রীঠাকুর এখানে ২৬-১২-১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে আসিয়াছিলেন। গাড়ি হইতে অবতরণ করিয়া সর্বপ্রথম ঠাকুর তুলসী কানন দর্শন করেন এবং জায়গাটি ঈশ্বর চিন্তার পক্ষে প্রকৃষ্ট স্থান বলিয়া অভিমত প্রকাশ করেন। এখানে রামবাবুর প্রদত্ত ফল ও মিষ্টান্ন ঠাকুর ভক্তগণসহ গ্রহণ করেন। বর্তমানে ইহা বেলুড় মঠের একটি শাখা কেন্দ্র — ঠিকানা শ্রীরামকৃষ্ণ যোগোদ্যান মঠ, ৭ নং যোগোদ্যান লেন, কাঁকুড়গাছি, কলি-৫৪।
Category Archives: North Kolkata
শ্রীশ্রীঠাকুর ১৬-১২-১৮৮৩ তারিখে রামবাবুর উদ্যানবাটী হইয়া এখানে আসিয়াছিলেন। বর্তমানে এইস্থানে সাধারণের বসতি স্থাপন হইয়াছে। ১৫-৬-১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দে এই বাগানে মহোৎসবে ভক্তগণসঙ্গে শ্রীশ্রীঠাকুর সংকীর্তন শ্রবণ করিয়া ভাবাবিষ্ট হইয়াছিলেন। ইহার বিস্তৃত বর্ণনা কথামৃতে আছে।
শ্যামবাজারের নিকটবর্তী কাছি বাগান নামক স্থানে বৈষ্ণবদের ‘নবরসিক’ সম্প্রদায়ের আখড়ায় বৈষ্ণদচরণ গোস্বামী ঠাকুরকে একবার লইয়া গিয়াছিলেন। এখানকার সাধিকারা ঠাকুরকে ইন্দ্রিয় জয়ী কিনা পরীক্ষা করিতে অগ্রসর হইয়া তাঁহাকে অটুট সহজ বলিয়া সম্মান দেখাইয়াছিলেন।
হোলি ট্রিনিটি চার্চ (বর্তমান ঠিকানা ৩৩/বি, রামমোহন সরণি।) মধ্যে কলিকাতার বৈঠকখানা অঞ্চলে খ্রীষ্টধর্মের প্রোটেষ্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের বিরাট গির্জা। ভক্ত মথুরবাবুর সহিত শ্রীরামকৃষ্ণ এখানে শুভাগমন করিয়াছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর খ্রীষ্টের ভাবে তিনদিন দক্ষিণেশ্বরে অবস্থানের সময় পঞ্চবটী তলায় যীশু খ্রীষ্টের দর্শন লাভ করেন। তাঁহার শরীরে যীশুর প্রবেশ পূর্বক লীন হওয়া প্রত্যক্ষ করিয়া তিনি সমাধিস্থ হন। এই সময় ৺জগদম্বার নিকট খ্রীষ্টান ভক্তদের উপাসনা প্রত্যক্ষ করিবার জন্য আন্তরিক প্রার্থনা জানান এবং তাঁহাদের উপাসনা দেখিতে ওই চার্চে শুভাগমন করেন। (শ্রীমদর্শন ১১/৫ দ্রষ্টব্য)
শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁহার বাদুড় বাগনের বাড়িতে একদিন মহোৎসব উপলক্ষে শুভ পদার্পণ করিয়াছিলেন এবং তাঁহাদের চণ্ডীমণ্ডপে ভাগবত পাঠ পদাবলী কীর্তন শ্রবণ করিয়া কীর্তন মধ্যে ত্রিভঙ্গমুরলীধারী হইয়া অবস্থান করিয়াছিলেন। নবগোপালবাবু ঠাকুরের সেইদিন ভুবনমোহন রূপ দর্শন করিয়াছিলেন।
পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী, আচার্য বিজয়কৃষ্ণ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্রাহ্ম নেতাদের প্রতিষ্ঠিত ঠনঠনে অঞ্চলে (২১১ বিধান সরণী) অবস্থিত। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে কয়েকবার শুভাগমন করিয়াছিলেন। নববিধান তথা ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে মতবিরোধের ফলে ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে এই সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সৃষ্টি এবং ১৮৮১ খ্রীষ্টাব্দে সমাজমন্দিরের প্রতিষ্ঠা।
On the occasion of the grand festival of Brahmo Samaj organized at Gyan Chowdhury’s house in Simulia, Sri Sri Thakur came there on 1st January,1882 and had divine discourse with Keshab and other members of Brahmo Samaj. Thakur sang and danced in ecstasy.
‘Lily Cottage’ (Kamal Kutir) – The house is located at the corner of Mechuabazar and Circular Road. Thakur came here several times. Keshab Chandra used to receive Sri Sri Thakur in the Thakur Ghar (room meant for worshipping) on the first floor of this house. On camera, the first picture of Thakur standing in Samadhi (divine ecstasy) was photographed in this house on 21st September,1879. Current address of the house is 78/ B, Acharya Prafulla Chandra Road, Rajabazar, Kolkata-9.
Sri Sri Thakur used to come here often. Acharya Keshab Chandra Sen, the famous leader of the Brahmo Samaj established his own breakaway “Bharatvarshiya Brahmo Samaj” in 1866 after a dispute amongst the followers. This came to be known later as Nava Vidhan Brahmo Samaj. The Samaj Mandir was built in the year 1869.
গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের মোড়ে ১৪ নং বেচু চ্যাটার্জী স্ট্রীট, কলি-৯, ঠনঠনে, বেচু চ্যাটার্জীর স্ট্রীটে তাঁহার বাড়ি। ১০-১২-১৮৮১ তারিখে ঠাকুর এখানে শুভাগমন করিয়া ভাবে নৃত্যভজন ও ঈশ্বরীয় প্রসঙ্গ করিয়াছিলেন। কেশবচন্দ্র সেনও ওইদিন উপস্থিত ছিলেন।