শ্রীশ্রীঠাকুর ১৮-২-১৮৮৩ তারিখে তাঁহার বেলঘরিয়ার বাড়িতে আসিয়াছিলেন। সেই দিন নামসংকীর্তন, ভজন, ঈশ্বরীয় প্রসঙ্গ ইত্যাদি ভক্তদের সঙ্গে করিয়াছিলেন। এইদিন হরিপ্রসন্ন (পরবর্তী কালে স্বামী বিজ্ঞানানন্দ) তাঁহাকে ভাবসমাধিস্থ অবস্থায় দর্শন করিয়াছিলেন।
Category Archives: Dakshineswar
জয়গোপাল সেনের বাগান বাড়ি (তপোবন) — শ্রীশ্রীঠাকুর হৃদয়কে সঙ্গে লইয়া বেলঘরিয়ায় এই বাগান বাড়িতে (৮ নং বি. টি. রোড) আগমন করিয়া কেশবের সহিত প্রথম দেখা করেন এবং তাঁহার উচ্চ আধ্যাত্মিক অবস্থা লক্ষ্য করিয়া প্রীত হল।
শ্রীশ্রীঠাকুর মথুরবাবুর সহিত এই দেবালয় দর্শন করিতে আসিয়া ৺দেবীর ভোগের জন্য মাসিক বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিলেন। পরবর্তী কালেও তিনি মধ্যে মধ্যে এখানে দর্শন করিতে আসিতেন।
ভাগবত পাঠ শুনিবার আগ্রহে ঠাকুর প্রথম জীবনে দক্ষিণেশ্বর হইতে বরাহনগরে এক ভাগবত পণ্ডিতের বাড়িতে নিত্য সন্ধ্যার সময় আসিতেন। ইহার উল্লেখ ‘বরাহনগর-আলমবাজার মঠ’ পুস্তকে আছে।
বৈষ্ণবদের বিখ্যাত এই পাটবাড়িতে ঠাকুরের শুভাগমন হইয়াছিল। শ্রীম-দর্শন গ্রন্থের পঞ্চদশ ভাগে ইহার উল্লেখ আছে। যেহেতু ঠাকুর বরাহনগর অঞ্চলের অধিকাংশ দেবালয়েই যাতায়াত করিয়াছিলেন সেজন্য এই পবিত্র আশ্রমে তাঁহার আগমন স্বাভাবিক। শ্রীরঘুনাথ উপাধ্যায় একবার এই স্থানে মহাপ্রভু চৈতন্যদেবকে তাঁহার ভজন কুটিরে ভাগবত পাঠ ও ব্যাখ্যা শুনাইয়াছিলেন। মহাপ্রভু তাঁহার পাঠে মুগ্ধ হইয়া তাঁহাকে ‘ভাগবতাচার্য’ উপাধি দিয়াছিলেন।
গঙ্গার ধারে বরাহনগরে ভক্তপ্রবর জয় মিত্রের কৃপাময়ী কালীমন্দিরে ঠাকুর শুভাগমন করিয়াছিলেন বলিয়া কোন কোন গ্রন্থে উল্লিখিত আছে।
বরাহনগরের এই বাগানবাড়িতে ঠাকুর আহার করিয়াছিলেন। এখানে মধ্যে মধ্যে আসিতেন।
বরাহনগর কুঠিঘাট রোড নিবাসী পরম ভক্ত নারায়ণদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কথকতায় দক্ষ ছিলেন বলিয়া জনগণের নিকট কথকঠাকুর বা ঠাকুরদাদা নামে পরিচিত ছিলেন। কথামৃতেও তিনি ঠাকুরদাদা নামে উল্লিখিত হইয়াছেন। ঠাকুর এই বাড়িতে শুভাগমন করিয়াছিলেন।
মাস্টারমহাশয়ের ভগ্নীপতি ঈশানচন্দ্র দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুরের চিকিৎসা করিতেন। তাঁহার বরাহনগরের বাড়িতে ঠাকুর শুভাগমন করিয়াছিলেন।
দক্ষিণেশ্বরের পার্শ্বে আলমবাজারে তাঁহার বাড়িতে ঠাকুর গিয়াছিলেন