Category Archives: Central Kolkata

Museum

মিউজিয়ামে দেখিয়াছিলেন জানোয়ার পাথর (fossil) হইয়া গিয়াছে। ইহাতে সাধু সঙ্গে উপমা দিয়া বলিয়াছিলেন, সাধুসঙ্গের ফলে মানুষও সাধু হইয়া যায়।

Jagannath Ghat and Koyla Ghat

শ্রীশ্রীঠাকুর জগন্নাথ ঘাটে নামিয়াছিলেন। শ্রীম দর্শনে (১৫শ খণ্ডে) উল্লিখিত আছে। ২৭-১০-১৮৮২ তারিখে শ্রীশ্রীঠাকুর দক্ষিণেশ্বর হইতে কেশবচন্দ্র ও ব্রাহ্মভক্তদের সহিত স্টীমারে আসিয়া গঙ্গাবক্ষে ভগবৎ প্রসঙ্গ করিয়াছিলেন। সেদিন কয়লাঘাটে নামিয়াছিলেন — কথামৃতে উল্লিখিত হইয়াছে।

The Asiatic Society and Museum

তখনকার বেঙ্গল সুপ্রীম কোর্টের এক বিচারপতি স্যার উইলিয়াম জোনস্‌ ১৭৮৪ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ই জানুয়ারি ভারতে ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য এই সোসাইটি স্থাপন করেন। এখানে এশিয়ার অনেক মূল্যবান ঐতিহাসিক গ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপি এবং প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব ও প্রাণিতত্ত্বের নিদর্শন সংগৃহীত হয় তাঁহারই প্রচেষ্টায়। প্রথমত এগুলিকে ওল্ড সুপ্রীম কোর্টে ও বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাড়িতে রাখা হয়, পরে ১৮০৮ খ্রীষ্টাব্দে পার্ক স্ট্রীটে সোসাইটির নবনির্মিত ভবনে স্থায়ী ভাবে রাখা হয়।

Fort William

রাজা তৃতীয় উইলিয়মের নামে কলিকাতার এই কেল্লা গঙ্গার পূর্বতীরে অবস্থিত। ইহা অসম অষ্টভুজাকৃতির। আয়তন ৫ বর্গ কিলোমিটার। ইহার অস্ত্রাগার বিশেষ দ্রষ্টব্য। মথুরবাবুর সহিত শ্রীশ্রীঠাকুর এই কেল্লা দেখিয়াছিলেন। কথামৃতে ২৫-৫-১৮৮৪ তারিখে ইহার উল্লেখ আছে। সংসারীর পক্ষে ঈশ্বরের সাধন গৃহে থাকিয়াই সুবিধাজনক। এই প্রসঙ্গে গৃহকে কেল্লার সঙ্গে তুলনা করিয়া বলিয়াছেন, যেমন কেল্লা হইতে যুদ্ধ করিলে কেল্লার অনেক সাহায্য পাওয়া যায়। পুঁথিতে আছে মথুরবাবুর সঙ্গে ফিটন গাড়িতে শ্রীশ্রীঠাকুরকে আসিতে দর্শন করিয়া শিখ সৈন্যরা ইংরেজ সেনাধ্যক্ষের অধীনে কেল্লাভিমুখে গমন কালে পথে অস্ত্রশস্ত্র ত্যাগ করিয়া ইউনিফর্ম পরা অবস্থাতেই ‘জয় গুরু’ বলিয়া তাঁহাকে ভুলুণ্ঠিত হইয়া প্রণাম করিয়াছিল। সেনাধ্যক্ষ তাঁহার অনুমতি ব্যতীত তাহাদের এরূপ কাজের জন্য প্রশ্ন করিলে, তাহারা উত্তর দিয়াছিল ইহাই শিখদের গুরুদর্শনে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর চিরাচরিত রীতি। ‘কেল্লা’ শব্দটির ব্যবহার শ্রীশ্রীঠাকুর কয়েকক্ষেত্রে করিয়াছেন। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িকে ‘মা কালীর কেল্লা’ ও বলরাম ভবনকে তাঁহার দ্বিতীয় কেল্লা বলিয়া অভিহিত করিয়াছিলেন।

Viceroy’s (Lat Saheb) Palace

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাসভবন। ময়দাবের উত্তরে ছয় একর বিস্তৃত জায়গাতে ইহা অবস্থিত। কলিকাতায় শ্রীশ্রীঠাকুর আসিলে হৃদয় তাঁহাকে বড় বড় থামওয়ালা এই বাড়ি দেখান। শ্রীশ্রীঠাকুর বলিয়াছিলেন, ‘মা দেখিয়ে দিলেন, কতকগুলি মাটির ইট উঁচু করে সাজানো।’ ৯-৩-১৮৮৪ তারিখে কথামৃতে ইহার উল্লেখ আছে।

Maidan area – Garer Math 

শ্রীশ্রীঠাকুর দুইবার এখানে আসার কথা কথামৃতে উল্লেখ আছে। ২১-৯-১৮৮৪ তারিখের বিবরণে আছে একবার বেলুন উড়ানো দেখিতে আসিয়া একটি সাহেবের ছেলেকে ত্রিভঙ্গ হইয়া গাছে হেলান দেওয়া অবস্থায় দেখিয়া শ্রীকৃষ্ণের উদ্দীপন হওয়ায় তিনি সমাধিস্থ হইয়াছিলেন। দ্বিতীয়বার ১৫-১১-১৮৮২ তারিখে উইলসন সার্কাস দেখিতে আসিয়াছিলেন।

Rani Rasmoni’s House in Janbazar

বর্তমান ঠিকানা — ১৩ নং, রানী রাসমণি রোড, কলিকাতা-৮৭, জানবাজারে রানীর বাড়িতে আসিলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই দোতলা বাড়িটিতে বাস করিতেন। তাঁহার ব্যবহৃত খাটটি এখনও আছে। মথুরবাবুর প্রবলভক্তি বিশ্বাসের ফলে শ্রীশ্রীঠাকুরকে অধিক সময় নিকটে পাইবার আকাঙ্ক্ষায় তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বর হইতে লইয়া আসিয়া দীর্ঘকাল সেবা করিতেন। একত্রে আহার, বিহার, এমনকি একই কক্ষে শয়ন পর্যন্ত করিয়াছেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের সখীভাব সাধন কালে এখানে অনুষ্ঠিত অনেক ঘটনার বিবরণ ‘লীলাপ্রসঙ্গে’ আছে।

Shankhari Tola – House of Dr. Mahendralal Sarkar

ঠিকানা — ১৫ নং, মহেন্দ্র সরকার স্ট্রীট, কলিকাতা-১২। শ্রীশ্রীঠাকুরের চিকিৎসার জন্য শাঁখারি টোলার ডা: সরকারের এই বাড়িতে তাঁহাকে লইয়া যাওয়া হইয়াছিল। রামচন্দ্র দত্তের ‘শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জীবন বৃত্তান্ত’ গ্রন্থে (২১শ পরিচ্ছেদ) ইহার উল্লেখ আছে।

Bengal Photographers’ Studio at Radhabazar

শ্রীশ্রীঠাকুরকে সুরেন্দ্রনাথ মিত্র এখানে ফটো তোলা কিরূপে হয় দেখাইবার পর শ্রীশ্রীঠাকুরের দণ্ডায়মান ও সমাধিস্থ অবস্থায় ফটো তোলেন।

Harisabha of Kalutola 

শ্রীশ্রীঠাকুর এই হরিসভায় নিমন্ত্রিত হইয়া হৃদয়ের সঙ্গে ভাগবত পাঠ শুনিতে আসিয়াছিলেন। পাঠ শুনিতে শুনিতে ভাবে আত্মহারা হইয়া শ্রীচৈতন্যের আসনে সমাধিস্থ অবস্থায় দণ্ডায়মান হন। বর্তমান ঠিকানা — কলুটোলা হরিভক্তি প্রদায়িনী সভা, ৩২-এ ফিয়ারস্‌ লেন, কলিকাতা-৭৩।