দুর্গামণ্ডপের সম্মুখে আটচালায় এই পাঠশালা বসিত। ক্ষুদিরাম গদাধরের পাঁচ বৎসর বয়সে এক শুভদিনে হাতে খড়ি দিয়া এই পাঠশালায় ভর্তি করিয়া দিয়াছিলেন। বর্ণপরিচয়, পরে হস্তলিখন ও সংখ্যা গণনা অভ্যাস শুরু হয়। তাঁহার হস্তাক্ষর অতি সুন্দর হইয়াছিল। ‘সুবাহুর পালা’ নামক তাঁহার স্বহস্তলিখিত পুঁথিতে ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুঁথিপাঠ তিনি ভালভাবেই করিতে পারিতেন।
Author Archives: HolyTrioFootPrints Admin
পিতা ক্ষুদিরাম দেহত্যাগ হইলে গদাধর শোকাচ্ছন্ন হইয়া এই শ্মশানে বহু সময় কাটাইতেন। এই গোচারণের মাঠে গদাধর কোন কোন সময় কোঁচড়ে মুড়ি লইয়া খাইতে খাইতে বেড়াইতেন। সেই সময় একদিন আকাশে কৃষ্ণবর্ণ মেঘের কোলে এক ঝাঁক সাদা বলাকা দর্শনে মুগ্ধ হন এবং এই অপূর্ব সৌন্দর্যের দর্শনে তন্ময় হইয়া ভাবসমাধিস্থ হন। ইহাই তাঁহার প্রথম ভাব সমাধি।
হালদারপুকুরে পশ্চিমে লক্ষ্মীজলা নামে এক বিঘা দশ ছটাক পরিমাণের ধানের খেত। ইহাতে প্রচুর ধান হইত। এই ধানের চাউলে ৺রঘুবীর ও অন্যান্য দেবতাদের ভোগ হইত।
এই পুকুরে গদাধর (ঠাকুরের বাল্য নাম) ও পরিবারের অন্যান্য সকলে স্নান করিতেন। পরবর্তী কালে শ্রীশ্রীঠাকুর ইহার কথা কথামৃতে বহুবার উল্লেখ করিয়াছেন।
বর্তমানে ৩৬ নং বিদ্যাসাগর স্ট্রীট, কলিকাতা-৯। শ্রীশ্রীঠাকুর এখানে মাস্টারমহাশয়ের সঙ্গে আসিয়াছিলেন। বর্তমানে সেই বাড়ির পূর্বাবস্থা নাই।
Sri Sri Thakur stayed in this house for 70 days from 2-10-1885 to 10-12-1885 for treatment of throat disease. The Bardin details of this period are mentioned in Kathamrita. This house was rented through the efforts of Kalipada Ghosh.
গেঁড়াতলার মসজিদ — চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, কলি-৭, মধ্য কলিকতার এই মসজিদে শ্রীশ্রীঠাকুরের একটি আকস্মিক ঘটনায় একদিন শুভাগমন হইয়াছিল।
Thakur Sri Ramakrishna Once Visited The Calcutta Medical College Hospital.
১৮৫২ খ্রীষ্টাব্দে ঝামাপুকুরে ছাত্রদের পড়াইবার জন্য রামকুমার (ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা) এই টোল বা চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন। সাংসারিক অভাব অনটনের জন্য তাঁহাকে কলিকতায় আসিয়া এই কাজ করিতে হইয়াছিল।
ঝামাপুকুরে বাসকালে গদাধর এই মন্দিরের মা সিদ্ধেশ্বরী কালী দর্শনে আসিতেন এবং দেবীকে গান শুনাইতেন। পরবর্তী কালেও এই মন্দিরে অনেকবার আসিয়া দেবীদর্শন ও পূজাদি দিয়াছিলেন।